বিএনপি যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, একদিকে সংস্কার চলবে, অন্যদিকে নির্বাচন। তবে তার আগে থানা থেকে লুট করা অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। তা না হেলে সন্ত্রাসীরা অপকর্ম করবে, ষড়যন্ত্র করবে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাবে। এই অস্ত্র দিয়েই আবার তারা কেন্দ্র দখলে যাবে। এই সুযোগ বাংলাদেশের মাটিতে দেওয়া হবে না। নির্বাচনের আগে অস্ত্র উদ্ধার করতেই হবে। এটা সরকারের দায়িত্ব। সরকার আমাদের আন্দোলনের ফসল। আমাদের দাবিও বেশি, প্রত্যাশার জায়গাও বেশি। আমরা সহযোগিতা করছি, আরও সহযোগিতা করব। অস্ত্র উদ্ধারে সহযোগিতা করব।
বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের পুরাতন গো-হাটা সড়কের বশির ভিলা মিলনায়তনে জেলা বিএনপির আয়োজনে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঢেউটিন বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় এ ঢেউটিন বিতরণ করা হয়।
এসময় এ্যানি আরও বলেন, সারা বাংলাদেশে আমাদের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে। সেই সুদৃঢ় ঐক্যের কারণেই শেষ পর্যন্ত ফ্যাসিবাদ পালিয়ে গেছে। হাসিনা পালিয়ে গেছে কিন্তু হাসিনার দোসরা পালায়নি। ৫ আগস্টের পর থানা লুট হয়েছে। থানার মধ্যে আগুন দিয়েছে, লুট হয়েছে। অস্ত্র কি উদ্ধার হয়েছে? আওয়ামী লীগের আমলের অবৈধ অস্ত্র, আর ৫ তারিখে থানা লুটের অস্ত্র এখন সন্ত্রাসীদের হাতে। ওই আওয়ামী দোসররা ও তাদের সঙ্গী ওই অস্ত্র দিয়ে সমাজে অপকর্ম করার জন্য অবনতি করছে। চুরি করছে, ডাকাতি করছে, সমাজে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাচ্ছে। সমাজে একটা অস্থিরতা কাজ করছে।
এ্যানি বলেন, এজন্যই অন্তর্বর্তী সরকারকে বারবার বলেছি, এখনো বলছি- ‘আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নের স্বার্থে আপনাদের আরও বেশি সজাগ থাকতে হবে।’ এ ছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে, সরকার থেকে কর্মসূচি দিয়ে অস্ত্র যদি উদ্ধার না করা হয়, তাহলে এদেশে হানাহানি বাড়বে, অস্থিরতা বাড়বে, আইনশৃঙ্খলার আরও অবনতি হবে। আমি সরকারকে বিশেষভাবে অনুরোধ করব, অস্ত্র উদ্ধারে আপনারা দায়িত্ব নিয়ে এ কাজটি করুন। এই কাজটি করার মধ্য দিয়ে সমাজে অস্থিরতা দূর করুন।
এ্যানি আরও বলেন, এই যে সমাজে বিশৃঙ্খলা, সমাজের মধ্যে ষড়যন্ত্র- তা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে। সবাইকে এই ম্যাসেজগুলো দিতে হবে, সতর্ক করে দিতে হবে। নিজেরাও সজাগ থাকতে হবে।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবুর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাছিবুর রহমান। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আহমেদ ফেরদৌস মানিক, বিএনপি নেতা শাহ মোহাম্মদ এমরান, বেলাল হোসেন, লক্ষ্মীপুর পৌর যুবদলের সদস্য সচিব মুনছুর আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/ টিএ